সূরা আন-নাস্ত্র পবিত্র কুরআনের একটি সূরা। এই সূরা মক্কায় বিদায় হজের সময় অবতীর্ণ হয়েছিল। কিন্তু যে সমস্ত সূরা হিজরতের পরে অবতীর্ণ হয়েছে সেগুলো স্থান নির্বিশেষে মাদানি সূরা। এজন্য এ সূরাও মাদানি সূরা। এর আয়াত সংখ্যা তিন। সূরা আন-নাস্র পবিত্র কুরআনের ১১০তম সূরা। এ সূরার ‘নাস্’ শব্দ থেকে সূরাটির নাম রাখা হয়েছে আন-নাস্।
অনুবাদ
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে৷
إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ .
১. যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়।
وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا
২ . এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দীনে প্রবেশ করতে দেখবেন।
فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرُهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا
৩. তখন আপনি আপনার প্রতিপালকের প্রশংসাসহ তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন এবং তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করুন, তিনি তো তওবাকবুলকারী।
ব্যাখ্যা
হাদিসে বর্ণিত আছে যে, সূরা আন-নাস্ত্র কুরআনের সর্বশেষ অবতীর্ণ সূরা। অর্থাৎ এরপর কোনো সম্পূর্ণ সূরা অবতীর্ণ হয় নি। এ সূরাতে মক্কা বিজয়ের পর মানুষ যে দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করেছেন, তা উল্লেখ করা হয়েছে । ইসলামের এ বিজয়ের ফলে রাসুলুল্লাহ (স.)-এর নবুয়তী দায়িত্বের পরিপূর্ণতাও বোঝানো হয়েছে। তাই বিশিষ্ট সাহাবিগণ এ সূরা নাজিল হওয়ার পর রাসুলুল্লাহ (স.)-এর ওফাত নিকটবর্তী বলে বুঝতে পেরেছিলেন । মহানবি (স.)-এর দুনিয়াতে আগমন ও অবস্থান করার উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়েছে বলে এ সূরায় ইঙ্গিত করা হয়েছে। এ সূরা দ্বারা আরও বোঝানো হয়েছে যে, কোনো ব্যাপারে যখন আল্লাহ সাহায্য করেন তখন অনেক অসাধ্য কাজও সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। তখন আল্লাহর প্রশংসা করা আবশ্যক।
শিক্ষা : এ সূরার শিক্ষা নিম্নরূপ :
■ আমাদের যাবতীয় কাজে আল্লাহর সাহায্য প্রয়োজন।
■ আল্লাহর সাহায্য ছাড়া সফলতা লাভ করা যায় না।
■ কোনো কাজে সফলতা আসলে আল্লাহর প্রশংসা ও পবিত্রতা ঘোষণা করা উচিত।
■ যাবতীয় ত্রুটি, অপরাধ বা পাপকাজের জন্য তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত।
অতএব, সকল সাওয়াবের কাজ করতে ও পাপকাজ থেকে বাঁচতে আমরা আল্লাহর সাহায্য চাইব। যখন আমাদের সফলতা আসবে তখন আমরা আল্লাহর প্রশংসা করব। আর যদি কোনো ত্রুটি হয়ে যায়, এর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করব।
কাজ : শিক্ষার্থীরা সূরা আন-নাসরের চারটি শিক্ষা খাতায় লিখে শিক্ষককে দেখাবে। |
Read more